যে ওখানে টেলিফোন কল করছে সে কি একটা জেনারেটর? অথবা একটা জ্বলন্ত মশাল? একটা পাখি? একটা বিস্ফোরণ? নাকি একজন অতিমানব? বস্তুত সে একজন মেষ জাতক, আর তা হলে উপর্যুক্ত উপমাগুলো তার ক্ষেত্রে খুব একটা বাহুল্য নয়। ধরে নেই আপনি তার মধ্যে কি খুঁজছেন সেটা আগেভাগেই জানেন। যদি আপনি উত্তেজনাকর আনন্দের সন্ধান করেন তবে একজন মেষ পুরুষ সেটা আপনাকে বেশ ভালোভাবে এবং প্রাচুর্যের সাথেই দিতে পারবে।
>> মেষদের একটা ক্ষমতা হলো তারা কোনকিছু পেছনে অনায়াসে ছেড়ে আসতে পারে, আর যা তারা একবার ছেড়ে আসে সেটার জন্য তাদের মনে বিন্দুমাত্র আগ্রহও আর অবশিষ্ট থাকে না। সে দেখতে শুনতে এবং কাজে কর্মে হয়তো বসন্তকালের থেকেও বেশি যৌবনপূর্ণ। <<
অবশ্য কখনও কখনও জ্বলজ্বলে ভাবটা নিভে গিয়ে কিছু মুহূর্ত মলিন হয়ে থাকবে। কিন্তু যদি আপনি নিরাপত্তা আর শান্তিময় একটা ভালোবাসার আশ্বাস খোঁজেন তাহলে বলতে হয় আপনি হয়তো সঠিক জায়গায়ই এসেছেন! তবে, কাঠখড় পুড়িয়ে তাকে অর্জন করে নিতে হবে। যদি সামান্যতম ভূলও তাকে জয় করতে, তবে আবার প্রথম থেকে শুরু করুন। যাকে বলে একবারে প্রথম কাট, প্রথম সিন।
মেষ পুরুষেরা চিন্তাশীল কিংবা সৃষ্টিশীল কাজে চমকপ্রদ অবদানের সাক্ষ্য রাখতে সক্ষম। তার সাথে তাল মিলিয়ে চলাটা হয়তো ক্লান্তিকর। কিন্তু আপনি যদি পারেন তবে ভালো হবে, অন্তত মানসিকভাবে তার সাথে তাল মিলিয়ে চলুন। তার যৌবনময় আচরণ ও গতিবিধি তার মানসিক এবং আবেগপ্রবণতায় হয়তো মিশেই রবে যতদিন না সে পরিপক্ব হয়ে ওঠে। আর সেটা তার জীবনে খুব দ্রুত হয় না। মেষ জাতকেরা ধীরস্থিরতার ব্যাপারে অধৈর্য্য। তারা সপ্রতিভ এবং আত্মবিশ্বাসী। সবসময়ই অন্যদের থেকে আগে আর কখনও কখনও তারা নিজেদেরকেও ছাড়িয়ে যেতে চায়। সময়, টাকাপয়সা, সহানুভূতি এবং সম্পত্তি দেবার ব্যাপারে সে খুবই মহানুভব। এমনকি সে অপরিচিতদের জন্যও করতে দ্বিধা করবে না। কিন্তু সে খুবই অধৈর্য্য। ভাবনাহীন আর স্বার্থপর এবং চাহিদাপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে যদি তার চাহিদা যথাসময়ে পূর্ণ না হয় এবং যদি তাকে জোরপূর্বক কিছু বিরুদ্ধভাবাপন্ন মানুষের মধ্যে থাকতে দেয়া হয়।
আর ভালোবাসার ক্ষেত্রে মেষদের অসাবধানতাটা পুরোপুরি বিস্ময়কর। সে যদি প্রেমে পড়ে তো ধরেই নেয়া যায় এক রোমিও-জুলিয়েট যুগলের কাহিনী ব্যতীত তার প্রেমটাই প্রথম সত্য ভালোবাসার নিদর্শন। আর যদি এই প্রেম ভেঙ্গে যায় তবে সে ভাঙ্গা টুকরোগুলো নিয়ে সারিয়ে তুলবার যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। কিন্তু এটা যদি না হয় তবে সে আবার প্রথম থেকে শুরু করবে আরেকজন জুলিয়েট যুগিয়ে নিয়ে।
>> সে এতটাই আবেগী যে একটা সম্পর্ক থেকে যত ধরনের কষ্ট, দীর্ঘশ্বাস, আনন্দের আতিশয্য, কাব্য খুঁচিয়ে বের করা সম্ভব সে তার সবটুকুই বের করে আনবে। মেষরা আধাআধি কিছু করতে পারে না। সে তার নিজেকে জ্বলন্ত মুহূর্তের দাবির কাছে ঠিক উজাড় করেই দেয়। <<
এবং এবারও ঠিক সেই প্রথমবারের মতোই অনুভূতি কাজ করবে তার মধ্যে – যেন এই তার প্রথম প্রেম। যত ভুলই একজন মেষ প্রেমিক করুক না কেন তার ধারণা হলো তার প্রিয়তমা অবশ্যই প্রতিটি স্বপ্নেই তার সাথেই থাকবে। একজন মেষ প্রেমিক ততটাই আবেগপূর্ণ যতটা কোন রমণী আশা করতে পারে, যদিনা আপনি একজন বৃশ্চিক নারী হন। একজন মেয়ের পক্ষে চাইবার আর কিইবা থাকতে পারে।
আপনি হয়তোবা ঠাণ্ডা প্রকৃতির ভেড়াটির সাথেই জড়িয়েছেন। দেখবেন সে যেন আপনাকে বোকা না বানাতে পারে। সে এখনও মঙ্গলের প্রভাবের মধ্যেই আছে। সে এখনও তেমন একটা কথা বলতে শুরু করেনি? সে সামনা সামনি অতটা প্রাণশক্তিপূর্ণ নয় এবং কিছুটা মিনমিনে? হ্যা, আমিও এরকম একজনকে চিনি। কিন্তু আমার কথা যদি শুনেন তো আপনি তার শক্ত খুলিটার ভেতরটা দেখতে পেলে বুঝতেন যে তার মগজটা সেকেন্ডে ২০০ বার পাক খাচ্ছে। যখন যেখানেই আপনি ঠিক যেন মঙ্গল দ্বারা প্রভাবিত নয় এই ধরনের কোন মেষকে দেখবেন তো তার ব্যবসার বর্তমান হিসাব নিকাশটার দিকে নজর দিতে ভুলবেন না। তাহলেই আপনি বুঝতে পারবেন যে সে একজন মেষই বটে। এরপর আপনি তার আগের প্রেমিকাদের কাছে তার কথা শুনতে পারেন। তারা হয়তো ফিক করে হেসে আপনাকে বলবে, “সে আর লাজুক? ভীরু? আপনি নিশ্চই অন্য কারো কথা বলছেন। কিছু পরেই আপনি তার আসল রূপটা বুঝতে শুরু করবেন। এই আপাত শান্ত আচরণ আসলে বড়সড় কোন ব্যবসার পদক্ষেপের জন্য আকুল প্রাণের উপর একটা মুখোশ মাত্র। সাধারনত আপনি যদি একজন সাদামাটা, সহজ কোন মেষের প্রেমে পড়েন তো ভালো; সে আপনাকে পরিষ্কার বুঝিয়ে দেবে যে সে কতটা প্রাণময় সব ব্যাপারে, হোক সেটা পটেটো চিপস, কি চাঁদের আলো, কি গাড়িতে ভ্রমণ।
অন্যকোন রাশির জাতকেরাই এমন অবিসংবাদিতভাবে সৎ এবং বিশ্বাসী হতে পারে না যখন সে প্রেমে পড়ে। তার সততা আপনাকে ভুলানো বা বোকা বানানো থেকে দূরেই রাখবে, আর তার আদর্শবাদ তাকে নতুন কারো প্রতি আগ্রহ জন্মাবার আকাঙ্ক্ষা থেকে বিরত রাখবে। বইতে তাদের ব্যাপারে যাই বলুক না কেন, বহুগামিতা কিংবা হালকা গা ঘেঁষাভাব মেষের স্বভাব নয়।
>> বইতে হয়তো সেইসব মেষদের কথা বলা হয় যাদের হৃদয়ের গভীরে ভালোবাসা আদৌ পৌছেনি। মেষ খুঁজে বেড়ায় গল্প-কাহিনীর মতো ভালোবাসা। আর গল্প-কাহিনীর মতো ভালোবাসায় কখনও খাপছাড়া হওয়া ঠিক নয়। সেটা ভালোবাসার ক্ষেত্রেই হোক কি প্রণয়ের ক্ষেত্রেই হোক। <<
যাইহোক, তার আগের বান্ধবীগুলো আসলে ছিল। বস্তুত আমি একজন মেষকে চিনি যে তার বর্তমান আগুনের ঝলক (প্রেমিকা) এর সাথে কথা শুরু করে অতীতের প্রসঙ্গ দিয়ে আর সেটা হলো, “ও ছিল, কিন্তু তুমি আমি মিলবার আগে। ”
অবশ্য আপনাকে ভবিষ্যতের কথা ভেবে আগেভাগেই সচেতন থাকতে হবে। সে তার বর্তমান সম্পর্কের ব্যাপারে খুবই আগ্রহী এবং প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যে সে বিশ্বস্ত থাকবে (এবং এগুলো সন্দেহাতীতভাবে সত্য)। কিন্তু তার রোমান্সের প্রয়োজনটা এতই তীব্র যে আপনি যদি আপনার প্রতি তার ঘোরটাকে সবসময় ধরে রাখতে না পারেন তো সে অন্যকোথাও চেষ্টা চালাতে ভুলবে না। যে মুহূর্তে আপনি আপনাদের দুজনার ভালোবাসা থেকে গল্প-কাহিনীর আমেজটাকে বিলীন হতে দেবেন অমনি সে সোজা পথে হাঁটা বন্ধ করে দেবে। আপনি যদি না বুঝতে পারেন যে গল্প-কাহিনীর ভালোবাসার স্বরূপটা তার কাছে ঠিক কেমন তাহলে জেনে নিন যে তার গল্পকাহিনীতে রাতে ড্রিমল্যান্ডে তার প্রেয়সীকে নিয়ে ঘুরতে যাবার সময় এটা প্রত্যাশা করে না যে প্রেয়সী কফ থেকে রেহাই পাবার জন্যে বুকে ভিকস মলম লাগাক, কিংবা সে আপনার একান্ত প্রসাধনের ব্যাপারগুলো দেখবে এটাও চায় না, সেটা হোক নখে রঙ করা, কিংবা দাঁত সাদা করা, কিংবা “সোনালী চুলের কদর বেশি” নামের ব্লিচ দিয়ে চুল উজ্জ্বল করা কিংবা মায়ের সাথে ফোনে ঘণ্টা ধরে কথা কাটাকাটি করা। কোন না কোনভাবে তার মনে গেঁথে গেছে গল্পকাহিনীর রাজকন্যা এরকম আচরণ করে না। আর স্রষ্টা জানেন, জুলিয়েট কখনই পায়ের উপর পা তুলে টফি চুষতে চুষতে টি.ভি দেখবে না। সুগন্ধি গায়ে লাগান যখন সে আশেপাশেই আছে। আর বান্ধবীর সাথে খুনসুটি করতে হলে করুন, যখন সে আশেপাশে নেই। নিজেকে প্রিন্স চার্মিং হিসেবে ভাবাটা তার দুরূহ হবে যদি জাগ্রত অবস্থায় আপনাকে চুমু খেতে গেলে আপনি নাক ডাকেন, কিংবা চিৎকার করে বলে ওঠেন, “স্বয়ং স্রষ্টার দোহাই, আমাকে ঘুমাতে দাও, দেবে না?” এখন বলুনতো এইটা কি সেই ঘুমন্ত সুন্দরীর কর্ম হতে পারে? প্রস্তুত হন প্রতিটি সকালে তাকে ভেজা চোখে এবং আবেগপ্রবণভাবে ভালোবাসা জানাতে, স্বপ্নের মতো সজীব, আর তার পৌরুষদীপ্ত মুখটাকে খুব কাছে পেয়ে। এবং তাকে এটা বুঝতে দিন।
মেষ পুরুষদের প্রেয়সীরা তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করলে তারা প্রথমে ভগ্নহৃদয় হয়ে শোকে বিহ্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু এরপর সে রেগে যায়। এরপর সে এমন কোন রাজকন্যার সন্ধানে যায় যে নাক ডাকেনা কিংবা এ ধরনের কিছু করে না। তার কথা বিবেচনা করলে বলতে হবে এটা তার অসততা নয়। সে কোন প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে নি। আপনিই ভেঙ্গেছেন। আপনি তাকে প্রথমে বুঝিয়েছেন যে আপনি একটা নাইটেঙ্গেল পাখি, জোছনায় মধুর সুরে গান করেন, যেমনটা তার প্রিয় গানটিরও ভাষ্য।
কিন্তু এখন সে দেখলো যে আপনি আসলে কিচির মিচির করা একটা কাঠবিড়াল, কিংবা একটা খুতখুতে নীলকণ্ঠ পাখি যার চলাফেরার অসাবধানতায় তার পরীদের গানে উন্মাতাল স্বর্গীয় ভুবনের স্বপ্নের ঘুম ভেঙ্গে গেছে। আর যখনই সে আপনার হাতটা ধরে তখনই বেল বেজে ওঠে। যখন আপনার হাতটা ময়লা এ্যাসট্রে ধরে আছে তখন আপনার হাত সে ধরলে কী করে বেল বেজে উঠবে? আর সে কীভাবে সেই মধুর সঙ্গীত শুনতে পাবে আপনি যদি চিৎকার করতে থাকেন। আর যে কারণে সে পর পর দুদিন মধ্যরাত পর্যন্ত বাইরে কাটিয়ে এসেছে। (সে এটা করেছে ঠিক, কিন্তু তাকে শাসন করবেন এটা ভাববার চেষ্টাও করবেন না। বিয়ে-শাদি কোন কারাগার নয় এবং আপনি নিশ্চয়ই তার ওয়ার্ডেন নন, এটাই তার ধারণা।)
আপনি যদি শিখতে পারেন কী করে চোখ আলতো করে খুলতে হবে আর তার দিকে ঝাপসাভাবে তাকাতে হবে এবং প্রাসঙ্গিক আর যা খুটিনাটি কায়দা আছে তবে সে আপনার সাথে সুখেই থাকবে। সে সারা জীবন আপনার জন্য অন্য আর সব মেয়েকেই এড়িয়ে যাবে। মেষদের ক্ষেত্রে একজন নারীর সাথে সম্পর্ক থাকা অবস্থায় অন্য আরেকজনের সঙ্গে শারীরিকভাবে লিপ্ত হওয়াটা অসম্ভব ব্যাপার (যদি না তার কুষ্ঠিতে মিথুন পূর্বপুরুষ কিংবা শুক্রের যোগ থাকে)। এটা কোনভাবেই সত্য এবং স্থায়ী ভালোবাসার যে ছবি তার মনে আছে সেটার সাথে খাপ খায় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নতুন কারো সাথে খুব ঘনিষ্ঠ হবার আগেই পুরোনো জনের সাথে তার বিচ্ছেদ ঘটে যায়। তবে এসবের আগে আপনি প্রচুর সতর্ক সংকেত বানী পাবেন। নিজের ভেতরে অনুরাগের অনুভব না জন্মালে একজন মেষ পুরুষ অনুরাগী স্বামীর ভূমিকা পালন করতে খুব কমই পারেন। তার এই গুণটাই অনেক ছলনা আর প্রতারণা করবার প্রয়োজনীয়তাকে হ্রাস করে। আর তাছাড়া আপনি নিশ্চয়ই এখন বুঝে গেছেন কী করে তাকে গল্প-কাহিনীর বইয়ের পাতাতেই আবদ্ধ রাখতে হবে।
নিষ্প্রভ, নেতিবাচক কিংবা অতিমাত্রায় লাজুক হয়ে উঠবেন না। তাকে ধরে রাখতে আপনাকে হতে হবে গ্রেস কেলি, আরসুলা এ্যানড্রেস, মেরি ড্রেসলার, ম্যাডাম কুরী, এবং রানী ভিক্টোরিয়ার মিশ্রণ, তবে এতে কিছু পরিমান ক্লেয়ার বোথি লুসকে ঢেলে দিলে ভালো হয়। কোন রাজকন্যাই মেষ পুরুষের মনের ছবিকে ছাড়িয়ে যেতে পারে না। তাকে বোঝানো যে আপনি অন্য সব মেয়েদের থেকে শ্রেষ্ঠ – এটা যদিও ছলা কলার পর্যায়ে চলে যাওয়া, তবুও এই একটি ব্যাপার আপনার প্রতি তাকে সারাজীবন বিশ্বস্ত রাখতে পারে।
>> আপনার যদি কোন মনোবাসনা থাকে যে তার সাথে মিথ্যে ছলনা করে তাকে জ্বালাবেন – তো সেগুলো ঝেড়ে ফেলুন মাথা থেকে। আপনার প্রথম অসাবধান আচরণটাই আপনার জন্য শেষ অসাবধনতা হবে। সত্যিকার পরকীয়ার কথা বাদ দিন, আপনি যদি খেয়ালে পড়ে অন্য কোন পুরুষের দিকে ফিসফিসিয়ে কিছু বলেন কিংবা অন্তরঙ্গভাবে তাকান তো ধরে নিন তাকে হারিয়েছেন। <<
এটা চেষ্টা করাই শ্রেয়, কেননা মেষ পুরুষ যেমন প্রেমে পড়ে হাবুডুবু খেতে জানে, তেমনি এটা থেকে বের হয়ে আসার ক্ষেত্রেও সে ভাবনাহীন। সে একজন ভাববাদী এবং একই সাথে সে একজন আত্মবাদী, অর্থাৎ সে নিজের ভুল স্বীকারে চরমভাবে নারাজ। বরং সে তার ভালোবাসাকেই বিসর্জন দেবে। তথাপিও, মনে রাখবেন যে কোন একটা অবস্থাকে হয়তো একজন মেষপুরুষ খুবই অসহ্য বলে ভাববে। যা আর দশজন আর দশটা সাধারণ ঘটনা বলেই ভাববেন। বিচ্ছেদের পর আপনি যদি তাকে সঠিক ভাবাবেগে ধরতে পারেন তো তার মধ্যে আবার নতুন করে রোমান্স জেগে উঠবে। অবশ্য পূর্বে যে তার সাথের আপনার অন্তরঙ্গতা ছিল এটা সম্পূর্ণ বিস্মৃত হয়েছেন এটাও তাকে বুঝিয়ে দিতে হবে। তাকে ফিরে পেতে হলে আপনার চালগুলো হতে হবে কঠিন, কেননা সে চ্যালেঞ্জ ভালোবাসে। তাকে ক্ষমা করবার একটা সদগুণ আপনার কাছে আছে, সেটা হলো তার যেকোন অপরিণামদর্শী দাম্পত্য সমস্যার পেছনেই রয়েছে একটা ব্যাপার সেটা হলো তার ধারণা যে সেই নাইটএঙ্গেল জোছনায় আর ঠিকমতো গাইছে না, এমন নয় যে সে স্বেচ্ছায় ভিন্নস্বাদের আশায় আপনার সাথে খারাপ ব্যাবহার করছে। তার স্বভাবে পরকীয়া নেই। ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করবেন না। আপনার কাছে তার হৃদয়ের চাবিটাতো আছে। এখনই তালাটা ঝুলিয়ে দিন।
সে সবকিছুতেই প্রথম থাকতে চায়, আর আপনি আপনার অতি প্রিয় পুরোনো গার্ডেনিয়া ফুলটা বাজী ধরতে পারেন যে আপনার হৃদয়ে সে প্রথমেই থাকতে চায়।
মেষেরা খুবই দখলপ্রবণ বা আধিকারিক এবং একই সাথে ভীষণ হিংসুটে। শুধু একজন সিংহ পুরুষই তার প্রেয়সীর সীমা লংঘনে রাগে উন্মাদ হয়ে উঠতে পারে। মেষ সিংহকেও ছাড়িয়ে যায়। মেষ নিজে আপনার কাছ থেকে অন্ধ বিশ্বাস এবং আস্থা দাবি করবে, কিন্তু নিজের ক্ষেত্রে ততটুকু মোটেও দেবে না। আপনার নিজেকেই বরং বুঝে নিতে হবে যে অন্য এক মহিলার সাথে তার প্রাণচঞ্চল কথোপকথনটা একদমই নিষ্পাপ।
>> আর তখন আপনি জানতে পারবেন যে তার আগ্রাসী আর আত্মবিশ্বাসী খোলসের নিচে একটা হীনমন্যতা কাজ করে। এ কথা সে বরং মরবে তবু স্বীকার করবে না। যে মেয়েটি তার এই ক্ষতবিক্ষত আত্মবিশ্বাস মৃদুভাবে এবং পরিপূর্ণ উজাড় হয়ে বিবেচনা করতে পারবে সে মেষ পুরুষটির হৃদয়কে স্থায়ীভাবে জয় করে নেবে। কখনই তার সাময়িক শত্রুদের পক্ষ নেবার ভুলটি করবেন না আর নিরপেক্ষ হয়ে বিতর্কের অন্যপিঠ দেখবার ভুলটিও করবেন না। <<
কেননা সামাজিক যোগাযোগ রক্ষার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা সে আপনার কাছ থেকে দাবি করবে কিন্তু সেই একই স্বাধীনতা সে আপনাকে দিতে নারাজ। আপনার মঙ্গল প্রেমিক আপনাকে একটা ভিত্তির উপর মূর্তির মতো দাড় করিয়ে রেখে দেবে। এবং আশা করবে আপনি সেখান থেকে নড়বেন না। সেখান থেকে নড়বার চিন্তাটা মাথা থেকে সরিয়ে ফেলুন, আর চেহারা থেকেও সরবার ইচ্ছা (যদি থাকে) লুকিয়ে রাখুন।
মেষ পুরুষেরা জন্মগতভাবেই বিদ্রোহী জাতের। সে কর্তৃপক্ষের ভিত টেনে নাড়িয়ে ফেলতে ভালোবাসে এবং সে ভাবে যে সে জন্মগতভাবেই আর সবার থেকে বেশি স্মার্ট। হয়তোবা সে সত্যিই অন্যদের থেকে স্মার্ট, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই এ কথা শুনতে এবং মানতে নারাজ। আর নিজেকে অন্যদের তুলনায় মহৎ এবং শ্রেষ্ঠ এ কথা জোর করে চাপাবার কারণে সে তার জীবনে একাধিক বার সোজা পতিত হয়ে থাকবে মাটিতে এবং নিজের মুখের উপরই। তার নেতৃত্ব দেবার আগ্রহ এবং অনুসরণের ক্ষেত্রে অনাগ্রহের কারণে তার উপরে পদস্থ কর্মকর্তারা তাকে প্রায়ই বিনম্র হবার কিছু শিক্ষা দেবেন। এই সময়ে আপনার অবস্থানটা অনেক উপরে, কেননা সে নিশ্চয়ই আপনার কাছে একটু সহানুভূতি আর সহমর্মীতার জন্যে ছুটে আসবে। আপনি অবশ্যই সেইসব জিনিস ভালোবাসবেন যা সে ভালোবাসে এবং সেইসব জিনিস ঘৃণা করবেন যা সে ঘৃণা করে। সে ঠিক একই রকম হিংস্রতা আর আস্থা দাবি করে ঠিক যেমনটি সে আপনার প্রতি বিশ্বস্তার ব্যাপারে খাঁটি, সেটা হোক বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে কি হোক প্রেমেরই ক্ষেত্রে। তার সূত্রানুসারে আপনি যদি তার এই ব্যাপারগুলোকে শ্রদ্ধা করতে না পারেন তো অন্য কাউকে খুজে নিন।
মেষদের চরিত্রে উল্লেখযোগ্য কোন ছলাকলার আশ্রয় নেই। সম্পর্কে ফাটল ধরা একজন মঙ্গল পুরুষকে চেনাটা মোটেও কঠিন নয়। কণ্ঠে শীতলতা, বিরক্তি এবং নির্ভুল ব্যবহার আর সেই সাথে কিছু খুব খোলামেলা মন্তব্যই পরিষ্কার করে তুলবে তার অবস্থান। অন্যদিকে, বিস্ফোরিত অগ্নি আর জ্বলন্ত রাগ বরং কমই গুরুতর, সেটা হলো তার বিষাদময়তা আর বিরক্তি হলো সাময়িক একটা ভাব, তার রোমান্সটাকে বাঁচানো সম্ভব। তার আগুনে অবস্থার থেকে বরফশীতল অবস্থাকে ভয় করবার যথেষ্ট কারণ আপনার রয়েছে।
>> তাকে সবচে দ্রুত হারিয়ে দেয়ার পদ্ধতি হলো নিজেই তার কাছে আগেভাগে মেলে ধরা। সে এক্ষেত্রেও নেতা হবে এইরকমই তার ইচ্ছা। আপনি যদি তাকে এই সুযোগটা না দেন তো সে আপনার উপর থেকে এত দ্রুত আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে যে আপনি বিম্ময়ে হতবাক তো হবেনই সাথে কষ্টটাও পাবেন বেশি। আর একবার আপনারা দুজন যদি দুজনের প্রতি শক্তভাবে নিবেদিত হন তো বেশি ঠাণ্ডা আর খাপছাড়া থাকবেন না, অন্যথায় সে অন্যকোথাও অভিনিবেশের সন্ধান শুরু করবে। <<
মেষ পুরুষেরা ছলাকলাপূর্ণ কিছু পছন্দ করে না। সে সবকিছুতেই বেশ সরাসরি ভূমিকা পালন করে থাকে। সেটা হোক বা রোমান্স কিংবা ব্যবসা। যেই না ভালোবাসাটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে সে একটা সেকেন্ডও নষ্ট করবে না, তবে ভালোবাসাটা তাকেই প্রথমে অনুধাবন করতে দিন। তার পেছনে ছুটোছুটি করবেন না, বারবার ফোন করবারও প্রয়োজন নেই, ইতিবাচক হোন নতুবা সে যে আপনাকে ভালোবাসে সেটা বুঝবার আগেই তার কাছে আপনার হৃদয়াবেগের কথা বলেই দিন। মেষ পুরুষের সাথে প্রেম যেন শূন্যে ঝোলানো একটা দড়ির উপর দিয়ে হেটে যাবার মতো, যার একপাশে আছে উষ্ণ আনন্দ আর অন্যপাশে নিরুত্তাপ বিচ্ছেদ। আপনাকে হয়ে উঠতে হবে শারীরিক কলাকসরতের দক্ষ ক্রীড়াবিদ। তার পেছনেও ছুটবেন না আবার তার থেকে দূরে দূরেও নয়। এগুলোই আপনাকে নিয়ে যাবে স্বাভাবিক আর শৃঙ্খলালব্ধ কৌশলের কাছাকাছি। এরপর হয়তোবা তার প্রতি আপনার ভালোবাসার ব্যাপারে কিছুটা চিন্তিত করে রাখতে হবে কিন্তু একই সাথে তার মনে যেন এই নিশ্চয়তাটা থাকে যে আপনি তাকে সবসমই ভালোবাসেন। এরকমভাবে বাঁচতে শিখুন কিংবা মেষের জীবনসঙ্গী হবার চিন্তাটা ঝেড়ে ফেলুন।
ভালো দিকটা হলো, আপনার মেষ প্রেমিক ভালোবাসার প্রস্তাবের ক্ষেত্রে প্রথম হতে চাইবে। একই সাথে কোন একটা ভুলবোঝাবুঝির পর সেই প্রথমে বলবে যে সে দুঃখিত। কিংবা আপনার দুঃসময়ে সেই প্রথম আপনার পাশে উপস্থিত থাকবে। আপনি যখন অসুস্থ হবেন কিংবা বিপদে পড়বেন তখন সে আপনার পাশে সার্বক্ষণিক লেগে থাকবে। সে আপনার জন্যে নির্দ্বিধায় এবং বিনাক্লেশেই তার টাকা পয়সা খরচ করবে (যদি সে মঙ্গলের পুত্রদের একট নমুনা হয়)।
>> তার আত্মগরীমায় আঘাত লাগলে সে খুবই বেদনাদায়ক নিষ্ঠুর এবং অতিরঞ্জিত কথাবার্তা বলে বসতে পারে। আপনি যদি তাকে না বুঝতে পারেন তো হয়তো আপনি খুব কষ্ট পাবেন কিন্তু তাকে বুঝলে আপনার কোন গ্লানি থাকবে না। যাই হোক এরকম কঠিন বক্তব্যের পর সে আপনার কাছে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষমা চাবে আর প্রত্যাশা করবে যে সে যেভাবে নিমেষেই সব ভুলে গেছে আপনিও ঠিক তেমনিভাবে সবকিছু ভুলে যান। <<
সে আপনার মুখশ্রী, আপনার প্রতিভা ইত্যাদির প্রশংসাতো করবেই সঙ্গে এগুলোর বিকাশের চেষ্টাও করবে। যদিও প্রায় সবক্ষেত্রেই সে প্রভুত্বপরায়ণ এবং অল্পতেই তার মেজাজ খারাপ হয় তবুও সূর্যটাকে সে খুব কমই তার রাগের কাছে নত করবে, বরং তার আগেই সবকিছু আবার ঠিকঠাক করে নেবে নিজে থেকেই। আপনি হয়তো তার জীবনের সবচে মূল্যবান সম্পদ, আর সে চায় যে আপনি সেটা বুঝেন। আর যখন কোন একটা নতুন চিন্তা বা পরিকল্পনা তার মাথায় এসে তাকে উতলা করে তোলে তখন সে প্রত্যাশা করে পরিপূর্ণ কদর আর মনোযোগ। আপনার সমগ্র পৃথিবী বলতে সে নিজেকেই ভাবতে চায়। অন্য পুরুষেরাও এরকম চায় কিন্তু তারা নিজেদের সমগ্র পৃথিবী হিসেবে তাদের স্ত্রীকে ভাবে না – যেটা আবার একজন মেষ পুরুষ ভাবতে পারেন যদি তার অর্ধাঙ্গিনী তার সমকক্ষ হয়। মেষ পুরুষেরা তাদের সহধর্মীনির মাঝে প্রখর নারীত্ব এবং একই সাথে একটু ছেলেমানুষীর মিশ্রণ দেখতে চায়। সে চায় যে আপনি পুরোপুরি স্বনির্ভর হবেন কিন্তু তার থেকে কয়েকধাপ পিছিয়ে থাকবেন। সে চাবে যে আপনি তার প্রশংসা করবেন এবং তার প্রতি উজাড় হয়ে যাবেন কিন্তু তাই বলে সে অসহায় ক্রিতদাসী চায় না। আপনি কি এখনও পড়ছেন? ভালো, সাহসী মেয়ে। আরও কিছু আসবে।
তার সব বন্ধুকেই আপনার পছন্দ করতে হবে যদিও বা নিজের ক্ষেত্রে আপনার বন্ধুদেরকে অপছন্দ করবার অধিকারটা সে নিজের কাছেই গচ্ছিত রাখে। যাইহোক, আপনি একজন পুরুষ চেয়েছিলেন, ঠিক? আর আপনার মেষ সঙ্গীর মধ্যে সেটা ঠিকই পেয়েছেন। আপনি যদি প্রখর নারীত্বের অধিকারী হন তবে আপনাদের প্রেম, এলাকার অন্যদের হিংসার ব্যাপার হয়ে উঠবে। আপনারা বিবেচিত হবেন রোমিও-জুলিয়েট হিসেবে (অবশ্য দুঃখের অংশটা বাদ দিয়ে)।
আপনাদের বিয়ের পর একজন মেষ পুরুষ চাইবে বাড়িতে তার রাজত্ব হোক নতুবা সে গৃহত্যাগ করবে। সে কীভাবে খরচ করবে না করবে এ ব্যাপারে পরামর্শ কিংবা সমালোচনা সেটা জনসমক্ষেই হোক কিংবা একান্তেই হোক সহ্য করতে পারে না। সে এটা রোজগার করেছে, নয় কি? এটা তার টাকা, ঠিক না? (কখনও কখনও ‘দখলদারী মনোভাব’ – এই বিশেষণটি শুধু আপনার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য এমনতো নয়, এটা আপনার রোজগারের টাকার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।)
>> যদিও মেষ পুরুষেরা তাদের চাকরি একের পর এক বদলেই যাবে যতদিন না সে নিজেই বস্ হতে পারে, কিন্তু সে কখনই আপনাকে না খাইয়ে রাখবে না। টাকা পয়সা আসবার কোন না কোন একটা পথ সে ঠিকই বাতলে নেবে। আর সেই টাকা খুব দ্রুতই অবশ্য ফুরিয়ে যাবে। <<
সে হয়তো তার আয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পারিবারিক বাজেট পরিচালনা করবে না – আর আমি বেশ বিনয়ী বলেই বুঝি কথাটাকে এভাবে বললাম, তাই বলে আবার আপনি নিজেই এটা করতে যাবেন না, হলেনই বা আপনি অংকে বরাবরই এ প্লাস পাওয়া ছাত্রী। কখনও তার অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে কোন প্রশ্ন করবেন না এবং তুলবেনও না। এটা অবশ্য প্রয়োজনীয় যে সে নিজেই সবসময় অর্থনৈতিক অবস্থার পরিচালনা করে। সে যদি একজন বিশেষ মেষ হন তো সে তার টাকা পয়সার ব্যাপারে খুবই মহানুভব গোছের হবেন আর আপনার যা প্রয়োজন তা পূরণ করবেন। কেনাকাটার শেষে যদি কিছু বাকি থাকে তো সে যদি একটা এ্যালিগেটর ব্রিফকেস কেনে তো আপনাকেও একটা কোবরার চামড়ায় তৈরি হাতব্যাগ কিনে দেবে। (হতে পারে সে কিছুটা স্বার্থপর কিন্তু সে মোটেও কৃপণ নয়।)
ভালো হবে যদি আপনার চাইনিজ পিগি ব্যাংকে কিছু কিছু করে টাকা পয়সা জমাতে শুরু করেন এবং সেই টাকা তার বিপদের সময়ে দিয়ে তাকে অবাক করেন। কেননা সে নিজে কখনই তার আয় জমিয়ে রাখবার মানুষ নন। আর কখনোই তার পোষাক নিয়ে চিন্তিত বা খুত খূতে হবেন না… সময়ে সে হয়ত শর্টস বা লুঙ্গি পড়ে ঘুরে বেড়াবে আপনার বন্ধুবান্ধবীর সামনে। আবার অসময়ে ব্লেজার কোট পড়ে বসে থাকবে ঘরে। কিন্তু র্সাপ্রাইজড হবেন আপনি যখন কোন আয়োজন করা পার্টি বা জনসমাগম স্থলে যাবেন তার সাথে। সবচেয়ে সুন্দর করেই পরিপাটি হয়ে থাকবে আপনার মেষ সঙ্গীটি, যার ফলে আপনি হবেন গর্বিত। তবে আপনার দেয়া ছোট ত্যানাও সে পরবে পরম ভালবাসায়, বিশ্বাস না হলে দিয়ে দেখুন।
প্রতিটি নবজাতকই আপনার মেষ সঙ্গীকে একজন নিবেদিত এবং গর্বিত বাবা হিসেবেই পাবে, যেমনটি আপনার স্বপ্ন ছিল। পরবর্তীতে সে হয়তো তার সন্তানদের উপরও প্রভুত্ব প্রয়োগের চেষ্টা করবে এবং তাদের ক্যারিয়ার নিজেই বেছে দেবার চেষ্টা করবে। সে হয়তো বা একজন উষ্ণ এবং চমৎকার মজার বাবা হতে সক্ষম কিন্তু তাকে মনে করিয়ে দিতে হবে যে বাচ্চাদেরও নিজেদের স্বাধীনতার প্রয়োজন রয়েছে ঠিক যেমনটি রয়েছে তার নিজের।
পিতৃত্বের ভূমিকায় সে খুবই খুশি এবং আনন্দিত থাকবে। বেজবল, পাখি, মৌমাছি থেকে শুরু করে ফুটবল, পিতা-কন্যার নৈশভোজ সবকিছুই সে আনন্দের সাথে করবে। শুধু তাকে কোনভাবেই ভাবতে দেবেন না যে ছোট ছানাপাখিটি আপনার কাছে তার চেয়েও বেশি মূল্যবান, নতুবা তার এই আনন্দের অনেকখানিই ঠাণ্ডা হয়ে যাবে।
বিয়ের পর এগিয়ে যান এবং নিজের ক্যারিয়ার গড়তে শুরু করুন যদি আপনি চান। সে সম্ভবত এটা অপছন্দ করবে না যতক্ষণ না আপনি তার চেয়েও বেশি উজ্জ্বল হয়ে ওঠেন। তার পক্ষে বরং ঝটপট তৈরি দুপুরের খাবার কিংবা অল্পতেই বরফ কুমকুয়াতের স্বাদ সহ্য করে নেয়া সহজ কিন্তু আপনি যদি তার ধারণাতে আস্থা রাখতে না পারেন তো কিছুতেই সে আপনাকে ক্ষমা করতে পারবে না। তাই ব্যাপারটা মনে রাখবেন।
তার আত্মনির্ভরশীলতার প্রশংসা করুন এবং তার আবেগী পদক্ষেপে লাগাম দেবার চেষ্টা করুন – অবশ্যই কৌশলে। নেতৃত্বের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলে তার কাছে জীবনটা ম্লান হয়ে যায়। তার পরম এবং আনন্দময় উৎসাহপ্রবণতা খুব করুণভাবে মলিন হয়ে যাবে যদি আপনি তাকে সরাসরি সমালোচনার দ্বারা নিবৃত করতে চান কিংবা তার ইতিবাচক প্রাণশক্তিকে নেতিবাচক চিন্তার দ্বারা সর্ট সার্কিট করে দেন। যে মুহূর্তে সে অফিসে কিংবা বাড়িতে তার কর্তৃত্ব হারাবে সেই মুহূর্ত থেকেই তার সজীব আশাবাদী মনোভাবটা পরিণত হবে অতৃপ্ত বদমেজাজে এবং অবশেষে নির্লিপ্ততায়। বশ্যতা স্বীকার করা তার কর্ম নয়। সে পুরুষদের পুরুষ। তার পৌরুষে আঘাত করবেন না এবং একই সাথে নিজের স্বাতন্ত্রকেও নষ্ট করবেন না। তাকেও কোন ব্যাপারে চাপ প্রয়োগ করবেন না আর সেও যেন আপনাকে চাপ প্রয়োগ করতে না পারে। মেষ স্বামী কখনই এমন কোন স্ত্রীর সাথে টিকে থাকতে পারবে না যে প্রতিরাতেই ক্লাবের পার্টিতে যায়। আবার এমন স্ত্রীও তার পছন্দ নয় যে সারাদিন ঘরে বসে বসে উল দিয়ে বেডকভার আর টেবিলক্লথ তৈরিতে ব্যস্ত থাকে। আপনাকে বরং এই দুইয়ের মাঝামাঝি কিছু একটা হতে হবে। কিন্তু আপনি যদি এটা হতে সক্ষম হন তো চিন্তা করে দেখুন তো একবার আপনার এলাকায় আপনিই হবেন সাদা চুলের সেই একমাত্র জুলিয়েট যার স্বামী এখনও বিবাহ বার্ষিকীতে আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠেন। আপনি যদি রোমান্টিক গোছের মেয়ে হন তো, অবশ্যই আপনি রোমান্টিক… না হলে প্রথমেই মেষ পুরুষের সাথে সম্পর্কে যাওয়াটা আপনার জন্য উচিত হবে না।
