কথা দিয়েছিলাম মওদুদকে নিয়া একটা গবেষনা করবো, আর আপনাদের জন্য পোষ্ট করবো। তারই প্রথম কিস্তী এইটা।

বেশি বু্ঝিতো, তাই এট্টু গবেষনা করলাম। খুব খেয়াল কইরা, ফেসবুকে শেয়ার কইরেন কিন্তু –

১৯৭৭-৭৯ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকারের মন্ত্রী ও উপদেষ্টা ছিলেন। ১৯৭৯ সালে তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং তাকে উপ-প্রধানমন্ত্রী করা হয়। ১৯৮১ সালের মে মাসে জিয়াউর রহমান নিহত হন এবং এক বছরের ভেতর হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেন। ১৯৮৫ এর নির্বাচনে মওদুদ আহমেদ আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং সরকারের তথ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এক বছর পর ১৯৮৬ এ তাকে আবার উপ-প্রধানমন্ত্রী করা হয়। ১৯৮৮ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৮৯ সালে তাকে শিল্প মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং এরশাদ তাকে উপ-রাষ্ট্রপতি করেন। ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকার জনরোষের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে ১৯৯১-এ মওদুদ আহমেদ আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। ২০০১ সালেও তিনি বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পাঁচবার মওদুদ আহমেদ নোয়াখালী জেলার কম্পানীগন্জ উপজেলা থেকে নির্বাচিত হন। মওদুদ ছাত্র অবস্তায় থাকাকালে “ছাত্রশক্তি” নামক একটি অখ্যাত ছাত্র সংগঠনের নেতা ছিল। উপায়ও ছিল না, সেই সময় প্রতিক্রীয়াশীলদের ঠাই ছিল না কোন ছাত্র সংগঠনে, না ছাত্র ইউনিয়নে, না ছাত্রলীগে, ছাত্রজীবনে নেজামে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন “ছাত্রশক্তি”র মাধ্যমে রাজনীতির হাতেখড়ি হয় মওদুদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন এনএসএফ এর রাজনৈতিক উইং হিসাবে এই চক্রটি মৌলবাদের ধারক বাহক ছিল। ১৯৭০ সালে যখন মওদুদ ইংল্যান্ড থেকে আইনের উচ্চশিক্ষা শেষ করে দেশে ফিরেন তখন দেশে স্বাধিকারে আন্দোলনের জোয়ার শুরু হয়েছে গেছে। সেই সময়ের আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঐতিহাসিক আগরতলা মামলার শুনানীতে তরুন ব্যারিষ্টার মওদুদকে দেখা গেছে ব্যারিষ্টার আমিরুল ইসলামের পাশে বসে থাকতে। এই ইমেজ ব্যবহার করে পরবর্তীতে আওয়ামীলিগের টিকেটে নমিনেশনে চেষ্টাও করেন। মুজিবনগর সরকারের আমলে রিলিফ ফান্ডের দায়িত্বে ছিলো ব্যারিষ্টার মওদুদ। পরবর্তীতে ব্যাপক দূর্নিতি ও অর্থ আত্মসাতের কারনে মুজিব সরকার তাকে জেলে ঢুকিয়েছিলো । তার শশুড় পল্লী কবি জসিম উদ্দিন আহম্মদ তার জন্য বঙ্গবন্ধুর কাছে তদবীর করেছিলো ।

কিন্তু একজন মৌলবাদী হিসাবে উনার রাজনৈতিক দর্শনের কখনও পরিবতর্ন হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের সময় মোশতাক আহমদের নেতৃত্বে যে কুচক্রী মিশন কাজ করছিলো তাতে মওদুদ আহমেদের সম্পৃক্ততা সম্পর্কে প্রমান পাওয়া যায়। ১৯৭১ এর পর নিজেকে আওয়ামীলীগার হিসাবে পরিচয় দিতে দেখা গেছে। কিন্তু সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের বিরোধীতার মুখে ১৯৭৩ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নমিনেশন পেতে ব্যর্থ হওয়ার পর আওয়ামীলিগের সাথে সম্পর্ক চিরতরে শেষ হয়ে যায় এবং নমিনেশন না পাওয়ার অপমান বা রাগ উনি আজও ভুলেননি বলেই মনে হয়।

অবশ্য বঙ্গবন্ধুর উদারতার সুযোগে আর পল্লীকবি জসীমউদ্দিনের জামাতা পরিচয়ের সুবাদে উনি পোস্টমাস্টার জেনারেল হিসাবে নিয়োগ পান। কিন্তু বিদেশ থেকে পোম্টাল স্ট্যাম্প ছাপানোর কাজে দূর্নীতির অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করা হয়। পরে সেই মামলায় জেলে যেতে হয় মওদুদকে।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশে যে উল্টা স্রোত তৈরী হয় – সেই স্রোতে জেল থেকে বেড়িয়ে আসে মওদুদও। প্রকৃতপক্ষে ১৯৭৫ সালের পর মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনামলেই উনি প্রকৃতপক্ষে নিজের মতো পরিবেশ পান । ১৯৭৮ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে তিনি উপরাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে প্রধান করে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) প্রতিষ্ঠা করেন।১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর জেনারেল জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। মন্ত্রীত্ব ছাড়াও মওদুদ আহমেদ জিয়াউর রহমানকে বিএনপি প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করেন। জেনারেল জিয়া উপদেষ্টা হিসাবে নিয়োগ দানের মাধ্যমে চতুর মওদুদকে বাংলাদেশের ক্ষমতার রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে যান। পরে ১৯৭৯ সালে সীমিত গনতান্ত্রিক পরিবেশে বিএনপির নমিনেশনে প্রথমবারের মতো এমপি হিসাবে সংসদে আসেন। জেনারেল জিয়া তাকে জ্বালানী এবং বিদ্যুত মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দিয়ে উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ দেন।

বিএনপি প্রতিষ্ঠার পরপরই জিয়াউর রহমান দলের কর্মীদের রাজনৈতিক প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে কর্মশালা আয়োজনের উদ্যোগ নেন, যার মাধ্যমে দলের কর্মীদের বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, দলের আদর্শ, সাংগঠনিক নিয়ম-কানুন ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করা হত।

১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বরে এরকম একটি কর্মশালা উদ্বোধনকালে তিনি দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন,“কোন রাজনৈতিক আদর্শ ধর্মকে ভিত্তি করে হতে পারে না। একটা অবদান থাকতে পারে। কিন্তু ধর্মকে কেন্দ্র করে কখন ওই রাজনীতি করা যেতে পারে না। অতীতে আমাদের অভিজ্ঞতা হয়েছে যে ধর্মকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান সময়ে যখনই রাজনীতি করা হয়েছিল সেটা বিফল হয়েছে। কারণ ধর্ম ধর্মই। আমাদের অনেকে আছে যারা আমাদের দেশে যে বিভিন্ন ধর্ম রয়েছে, সেগুলোকে কেন্দ্র করে রাজনীতির পরিবেশ সৃষ্টি করতে চেষ্টা করেন। রাজনীতির রূপরেখা বানাতে চেষ্টা করেন, আমরা বারবার দেখেছি তারা বিফল হয়েছে। ধর্মের অবদান থাকতে পারে রাজনীতিতে, কিন্তু রাজনৈতিক দল ধর্মকে কেন্দ্র করে হতে পারে না। এটা মনে রাখবেন, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।”কিন্তু মওদুদ সাহেবের কুটু কৌশলের ফলে, জিয়া আবালের মতো শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু এই মতাদর্শে জামায়াতকে রাজনীতে পর্নবাসন করে, এবং ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতির পথ সুগম করে। জিয়া জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারমের উপর “আল্লাহু আকবর” প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে, নিজেকে একজন ধর্ম প্রান মুসলমান হিসেবে প্রমানের চেস্টা করেন। এবং আরব বিশ্বের নজর কাড়তে সচেষ্ট হন। সবই কিন্তু মওদুদের পরামর্শ। (নেজামে ইসলামের মতাদর্শ আস্তে আস্তে বিকশিত হচ্ছে)

জিয়াউর রহমান তার জীবনের শেষ ভাগে দূর্নীতির বিরুদ্ধে একটু সক্রিয় হবার চেষ্টা করেন। এই প্রক্রিয়ায় ধরা পরেন মওদুদ আহমেদ – দূর্নীতির অভিযোগে তাকে মন্ত্রীসভা থেকে বহিষ্কার করেন জিয়া। কিন্তু মওদুদ সাহেব ততদিনে একজন বিরাট ব্যক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে গেছেন। জেনারেল জিয়া সামরিক বাহিনীর একটা আপাত অসফল ক্যুতে মারা যান। আসলে সেই যে একটা সফল ক্যু’ই ছিল – সেটা বুঝার জন্যে আমাদের আরো কিছু দিন অপেক্ষা করতে হয়েছিলো। জিয়ার উত্তরসূরী হিসাবে বিচারপতি সাত্তারকে একটা পুতুল হিসাবে ক্ষমতায় বসিয়ে জেনারেল এরশাদ ক্ষমতার পথ পরিষ্কার করে। জানা যায় যে – তখন সাত্তারের মন্ত্রীপরিষদের মিটিং (শাহ আজিজ প্রধানমন্ত্রী) শেষ হওয়ার পর পরই একটা গাড়ী দ্রুত ক্যান্টনম্যান্টের দিকে যেতে দেখা যেত – যাতে বসা থাকতেন মওদুদ আহমেদ। (আবারও ধান্দাবাজী)

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ শুরুর সময় এরশাদ ছুটিতে রংপুর ছিলেন। কিন্তু, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করে তিনি পাকিস্তান চলে যান। পাকিস্তান থেকে আটকে পড়া বাঙালিরা যখন ১৯৭৩ সালে দেশে ফিরে আসে তখন তিনিও প্রত্যাবর্তন করেন। পাকিস্তান থেকে দেশে ফেরার পর ১৯৭৩ সালে তাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অ্যাডজুটান্ট জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১২ ডিসেম্বর ১৯৭৩ সালে তিনি কর্নেল ও ১৯৭৫ সালের জুন মাসে সেনাবাহিনীতে ব্রিগেডিয়ার পদে পদোন্নতি পান। ১৯৭৫ সালের ২৪ অগাস্ট ভারতে প্রশিক্ষণরত অবস্থায় তিনি মেজর জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি পান ও Deputy Chief of Army Staff হিসেবে নিয়োগ পান। (এই জিনিসটা কেন করা হইলো, আমি ঠিক বুঝলাম না!) ১৫ অগাস্ট সামরিক অভ্যুত্থানের পর এরশাদ বাংলাদেশের দিল্লি মিশনের মাধ্যমে দেশে ফেরার আকাঙ্ক্ষা জানিয়ে বার্তা পাঠান।

৩০ মে ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হবার পর, এরশাদের রাজনৈতিক অভিলাষ প্রকাশ হয়ে পড়ে। ২৪ মার্চ ১৯৮২ সালে এরশাদ রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারের নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন। ১১ ডিসেম্বর ১৯৮৩ সাল নাগাদ তিনি প্রধান সামরিক প্রশাসক হিসেবে দেশ শাসন করেন। ঐ দিন তিনি দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা রাষ্ট্রপতি বিচারপতি এ.এফ.এম আহসানুদ্দিন চৌধুরীর কাছ থেকে নিজের অধিকারে নেন। এরশাদ দেশে উপজেলা পদ্ধতি চালু করেন এবং ১৯৮৫ সালে প্রথম উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৮৬ সালে তিনি জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন এবং এই দলের মনোনয়ন নিয়ে ১৯৮৬ সালে পাঁচ বছরের জন্য দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও জামায়াত এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে যদিও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এই নির্বাচন বয়কট করে। সাধারণ নির্বাচনে তার দল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করে। প্রসংগত মওদুদ জিয়াউর রহমানের বিএনপি গঠনের মতো এরশাদের জাতীয় পার্টির সংগঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এবং সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি এরশাদকে রাষ্ট্র ধর্ম হিসেবে ইসলামকে সংবিধানে অন্তর্ভূক্ত করে।

এইখানে খুব খেয়াল কইরা দেখতে হবে কিন্তু! জিয়াকে দিয়ে ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতির পথ সুগম করানো, এরশাদকে দিয়ে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষনা। (আবারো নেজামে ইসলামের মতাদর্শ)

মওদুদ যখন যে দলে ছিল, সেই দলই সাম্প্রদায়িক শক্তির সহায়ক হইছে! অন্তত ইতিহাস তাই বলে।

কিন্তু এরশাদ ক্ষমতায় এসে অনেকে নাটকের মধ্যে একটা নাটকের অংশ হিসাবে ১৯৮২ সালে এরশাদ সামরিক শাসন জারি করে অন্যান্য নেতাদের সাথে মওদুদকেও গ্রেফতার করেন এবং জিয়ার আমলে যে অভিযোগে মন্ত্রীত্ব হারিয়েছিলেন তারই ভিত্তিতে সামরিক আদালতের রায়ে তার তার পাঁচ বছরের জেল হয়। যখন মওদুদ জেলে যাচ্ছেন – ঠিক একই সময় দেখা যায় মওদুদ সাহেবের সহধর্মিনী জেঃ এরশাদের লন্ডন সফরে সফরসংগী হচ্ছেন। (কাকু আসলেই একখান পিস) সেই সফর থেকে ফিরেই এরশাদ মওদুদকে ক্ষমা করে দেন এবং দেশবাসী অবাক হয়ে দেখলো উনি জেনারেল এরশাদের মন্ত্রী সভার সদস্য হিসাবে শপথ নিলেন। (মওদুদ ব্যাটা, বউটারেও ব্যবহার করলি? নিজের চরিত্রে সাথে, বৌটারেও নষ্ট করলি)

তারপর মওদুদের যাত্রা শুরু হয় ক্ষমতার শীর্ষে একজন নীতিনির্ধারক হিসাবে। এরশাদের সামরিক সরকারের তার বিচরনের সংক্ষিপ্ত চিত্র হলোঃ-
• ১৯৮৬ সালের মিডিয়া ক্যুর নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন।
• ১৯৮৮ সালে একদলীয় নির্বাচনে আবারো এমপি নির্বাচিত হন।
• ১৯৮৫ -১৯৮৮ – সামরিক সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রী।
• ১৯৮৬ – ১৯৮৮ – সামরিক সরকারের উপপ্রধান মন্ত্রী।
• ১৯৮৮ – ১৯৮৯ – এরশাদ সরকারের প্রধানমন্ত্রী।
• ১৯৮৯ – ১৯৯০ – এরশাদের ভাইস প্রেসিডেন্ট।

১৯৯০ সালে যখন এরশাদের শাসন বিরোধী আন্দোলন যখন তুংগে তখনকার একটা দৃশ্যটা অনেকে ভুলবেন না নিশ্চয় – মওদুদ সাহেব এরশাদের শাসনের বৈধতার বিষয়ে সাংবিধানিক ব্যাখ্যা বিষয়ে টিভিতে বক্তব্য রাখছিলেন – হঠাৎ করে এরশাদের পদত্যাগের খবর প্রচারে জন্যে তাকে টিভি পর্দা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

আমাদের দেশের যত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, সাম্প্রদায়িক উস্কানী আমার গবেসনায় কয় ওই হালায় করছে.. আমি নিজেই যোগ বিযোগ মিলায়া অস্থির হইয়া গেছি.. কেমনে কেমনে জানি হালায় ধরা ছোয়ার বাইরে রইছিল… এইবার ধরছি চাই দিয়া… কিন্তু বড় হইতাছে… বিশ্লেষন করতে গিয়া, আবার বিশ্লেষন না করলে লোকজন বুঝবে না কেমনে কি হইলো… ফাপরে আছি

(তথ্য সংগ্রহ) বিভিন্ন বই, ওয়েব পোর্টাল, বিশেষ করে উইকিপিডিয়া, বাংলাদেশ জার্নাল, ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস ইত্যাদি থেকে। শেয়ার করুন। লাইক দিলে প্রচারটা হবে না। সাম্প্রদায়িক শক্তির বিনাশ করতে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।