উল্লেখ্য লাইনটি বাংলাদেশের নোয়াখালী অঞ্চলের প্রচলিত প্রবাদ থেকে লোকমুখ থেকে চয়ন করা হয়েছে। এই লাইনটি প্রচলিত বাংলা ব্যকরনের প্রবাদ “চোরের মনে পুলিশ পুলিশ” এর আঞ্চলিক প্রবাদ এর সংষ্করন। এতে বুঝানো হয়েছে যে যেমন, সে তেমনই ভাবে। এই যেমন, বর্তমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে আয়োডিনের অভাবী কিছু কিছু দলকানা ভেড়ারা এই রকম ভাবছে। ইতিহাস থেকে আমরা জানতে পাই, ইতিপূর্বে তাহারা নিজেরাই অসৎ কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিল (এই ষ্ট্যাটাস দ্রষ্টব্য:
https://www.facebook.com/masudanwar21/posts/10202539616325644) বিধায় তারা সিপিবি ও বাসদকে তাদের দলভুক্ত মনে করছে। সিপিবি কেন গত নির্বাচনে অংশগ্রহন করে নাই, এটা সিপিবি’র ঐতিহাসিক ভুল সিদ্ধান্ত। সিপিবি নির্বাচনে অংশ না নিয়ে হাম্বালীগের নেতৃত্বাধীন মহাজটে অংশ না নিয়া, তলে তলে বৃহত্তর জামায়াতের বিএনপি শাখার নেতৃত্বে সদ্য ১৮ থেকে ১৯-এ উত্তর্নী জটের সাথে জট বদ্ধ হচ্ছে। মাঝে মাঝে শুনা যায়, সিপিবি নাকি জামাতের সাথেই সখ্য গড়ছে। হায়! আবাল আর আর কত রকম হবে? ব্যক্তিগতভাবে আমি আমার প্রতিপক্ষকে কখনোই খাটো করে দেখি না। এটা আমার স্বভাব সিদ্ধ নয়। বরং নিজের ভুল, দুবর্লতা এবং কর্মকান্ডের প্রতি আমার কঠোর নজরদারি। ফলে, আমি সংকটে পরার পর হাউকাউ করি না। বরং কিভাবে সংকট থেকে উত্তরন করে সঠিক এবং সফলকাম হবো তা নিয়া বেশি চিন্তিত হই। স্বীকার করতে বাধা নাই। জামায়াতের সাংগঠনিক শক্তি আমাদের চাইতে বেশি। তারা সংঘবদ্ধ এবং সুসংগঠিত। আমরা বরং বিলোপবাদের ভুতের তাড়া খেয়ে বেশ কিছুদিন দ্বিধাগ্রস্ত, অগোছাল, বিচলিত এবং শুভাকাঙ্খী, শুভোন্ধ্যায়ীদের চাপে ছিলাম। নানা রকম প্রশ্নেবানে বিপর্যস্থ হয়েছিলাম। তখন পার্টিকে বিলুপ্তবাদের ভুতের আছড় থেকে রক্ষা করাই ছিল মূল কাজ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বেয়াল্লিশ বছর পেরিয়ে গেছে। প্রায় সবটা সময় জুড়ে দেশের ধনিক বিশেষতঃ লুটেরা শ্রেণির বিভিন্ন দল ক্ষমতার হাত বদল করে দেশ চালিয়েছে। কিন্তু তারা দেশের মৌলিক সমস্যাগুলির বিশেষ কোন সমাধান করতে পারে নাই। বরং সঙ্কট আরও গভীর জটিল ও ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। ১৯৯১ সনের দিকে সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তির পর মস্কোপন্থী দল বলে পরিচিত সিপিবি থেকে নেতৃত্বের এক বিরাট অংশ অর্ধেক সম্পত্তিসহ চলে গিয়ে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, গণফোরামে যোগ দেয়। রণনীতি নিয়ে, রণকৌশল, বিপ্লবের স্তর, বিপ্লবের নামকরণ, শত্রু মিত্র, আশু রাজনৈতিক পদক্ষেপ বা নেতৃত্ব নিয়ে বাম দলগুলির মধ্যে ভাঙ্গনের পর ভাঙ্গনের ট্রাজেডি লক্ষ লক্ষ নেতা কর্মীর অক্লান্ত পরিশ্রম সুমহান আত্মত্যাগের অর্জন ও স্বপ্নগুলিকে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিতে থাকে।

কবি মোহন রায়হান আক্ষেপ করে বলেছেন:
‘জমিজমা সম্পদ প্রাচুর্য এমনকি নারী নিয়েও,
কি কোন বিরোধ ছিল কমরেড?
তবু কেন মেঘনার ভাঙ্গনের মত আমরা অস্তিত্বহীন প্রায়?
সুচিন্তার অহংকার ঠেলে দিয়েছে কোথা?
কোথায় আজ মানুষের মুক্তি সংগ্রাম?’

সোভিয়েত পতনের পর, বাংলাদেশে সাময়িক ধস নামে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনে, অনেকেই হাতাশাগ্রন্ত হন, অনেকেই সুবিধা বঞ্চিত হবেন বা আর সোভিয়েত বুত্তি পাবে না মনে করে নিজ নিজ আখের খোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেও, হাল ধরে ছিলেন কিছু আবেগী এবং স্বপ্নবান মানুষ। এই স্বপ্নবানদের অপরিপক্কতা, অদূরদৃষ্টিতা থাকা স্বত্তেও সামজতান্ত্রিক বিপ্লবের স্বপ্ন এখনও টিকে আছে, বিলোপবাদের ভয় কাটিয়ে পাটিকে এগিয়ে নিচ্ছে।

পার্টি নানাভাবে বামপন্থীদের ঐক্য প্রক্রিয়ায় অগ্রসর করে নিতে চাইছে। পার্টি সর্বোচ্চ ঐক্য কমিউনিস্ট ঐক্য গড়ে তুলতেও আগ্রহী। এই ধরনের ঐক্য গড়ে তোলার উদ্যোগও নেয়া হয়েছিল। কমিউনিস্ট পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি এক দলে পরিণত করার জন্য আলোচনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু সে আলোচনা বেশি দূর অগ্রসর হয় নাই। তবে এই ধরনের প্রচেষ্টা আজও অব্যাহত আছে। ইতোমধ্যে সিপিবি’র সাথে কমরেড হায়দার আকবর খান রনোর নেতৃত্বে ওয়ার্কার্স পার্টি (পুনর্গঠিত) মিলে এক পার্টিতে পরিণত হয়েছে। (কাচা কমিউনিস্টতো, তাই সিপিবি’র সাথে আসছে। পাকা হইলে আওয়ামী লীগেই যাইতো!)

দীর্ঘদিনে আমার কিছু রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা হয়েছে, (যদিও আমার প্রিয়জনেরা বলেন আমি এখনও অপরিপক্ক এবং কিছুটা অগোছালো। সবাই আমারে শাসন করে, এমনকি আমার তিন বছরের কন্যাও!) আমি দেখেছি, আমরা সবাই চাই একবারে হীরের টুকরো। অথচ ঐ হীরাটা যে, ময়লা কয়লার ভিতর থাকে, ওটাকে অনেক শ্রমে সেখান থেকে বের করে নিতে হয়, তারপর কাটতে হয় নিপুণ হাতে সেই বোধটাই আমাদের নেই। এই জাতির দুর্ভাগ্য এই যে, তার সব তৈরী কিন্তু তারা লালন করতে জানে না, গড়ে নিতে জানে না। সেই শ্রম, মেধা, ধৈর্য, ঔদার্য, দূরদৃষ্টি তার কোথায়? কেউ নিজে কিছু করতে চায় না, আমিও নিজেও এর অন্তর্ভক্ত।

আবার অনেকেই আবেগ তাড়িত হয়ে বলেন, পার্টি কেন এটা করতে পারছে না। কেন পার্টির ওটা হচ্ছে না। তাদের উদ্দেশ্যে একটা উদাহরন দেই, আমার কন্যার বয়স তিনবছর। আপাতত দৃষ্টিতে সেও পরিপূর্ন মানুষ। হাত পা চোখ নাক মুখ সবই ঠিক ঠিক আছে। দৌড়াতেও পারে! কিন্তু আমি যদি বলি মা, অলিম্পিকে তোমার মত আমার মত মানুষেরা দৌড়ায়। সোনার মেডেলে পায়। তুমিও দৌড়াও সোনার মেডেলে পাবা। আমার কথা মত সেও যদি দৌড়ায়ও, সোনার মেডেল কি পাবে? পাবে না। সোনার মেডেল পেতে হলে তাকে সেই সামর্থ্য অর্জন করতে হবে। তাকে প্রতিদিন পুষ্টির যোগান দিতে হবে। পার্টির অবস্থাও তাই। এই মুহূর্তে পার্টির শক্তি সামর্থ্য যতটুকু আছে তার মধ্যেই যতটুকু পারার করছে। আর ভুল হচ্ছে, ঠিক আছে। কাজ করলে ভুল হবেই। কাজ না করলে ভুলও হবে না। শুধরাবেও না। আমাদের উচিৎ, পার্টি ঘোষিত কর্মসূচীতে আসা, কর্মসূচীর জমায়েত আর পার্টির সমর্থক অংশগ্রহনকারিরা পার্টির পুষ্টি। এটা ঠিক রাখতে পারলে আমাদের পার্টি কঠিন থেকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, অগ্রসরও হবে দ্রুত। দূর থেকে শুধূ সমালোচনা করলে এর কিছুই হবে না।

সিপিবি বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প তৈরির চেষ্টা করছে। বাম দলগুলি সবাই স্বীকার করেন বামপন্থীদের ঐক্য খুব জরুরি এবং এ নিয়ে কালবিলম্ব করা ঠিক হবে না। একটি অর্থবহ বিকল্প শক্তি গড়ে তোলার জন্য ঐক্য প্রয়োজন। কিন্তু কেউ আশানুরূপ সাড়া দিচ্ছে না। কমিউনিস্ট পার্টি আর বাসদ জোট বেধেছে… দ্বিধাদ্বদন্দ তাদের মধ্যেও আছে। কিন্তু নূন্যতম কর্মসূচীর ভিত্তিতে নূন্যতম ঐক্যওতো হতে পারে? এই দৃষ্টান্ত সিপিবি ও বাসদ করে দেখিয়েছে। যদিও কর্মসূচীগুলো এখন আর নূন্যতম নাই, আশা করি সামনে আরো এগুবে।

অনেক চরাই উৎরাই আর প্রলোভন, কুরুচীপূর্ণ মন্তব্যকে পাস কাটিয়ে সিপিবি এখন ঘুরে দাড়িয়েছে। আর পার্টিকে এ জায়গায় আনতে গিয়ে যারা কামলা খেটেছেন, যারা ঘর বাড়ি বিসর্জন দিয়েছেন। নিজের সর্বোচ্চ সম্পদ জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাদেরকে যখন হালুয়া রুটির ভাগ নিতে যাওয়া সাবেক বিচ্যুত পাকা কমিউনিস্টরা জ্ঞান দিতে আসে আমি যারপনাই অবাক হই। এই মুহূর্তে পার্টির কামলাদের নাম নিয়ে তাদের আমি খাট করতে চাই না। শুধু বিনম্র শ্রদ্ধায় তাদেরকে আত্মার অন্তস্থল থেকে বিনম্র শ্রদ্ধাই জানাই।

যারা চলে গিয়েছিলেন, তাদের মধ্য থেকে অনেকেই নিজ দ্বায়িত্বেই আবার পার্টির কাজের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছেন। নিজ নিজ গুনে পার্টির গুরু দ্বায়িত্ব পালন করছেন। পার্টিকে সর্মদ্ধ করেছেন। আর যারা গোস্সা করে বসে আছেন এই ভেবে, আমার রাগ ভাঙ্গায় না কেন? আমিতো পার্টিরই লোক? আমিতো তোমাগোরই… যখন দেখে কেউ ডাকে না। তখন পার্টির সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠে! এইটা কইরা পার্টি ঠিক করে নাই, ওইটা করলে ভাল হইতো, এইটাতো ওমুকের কমিটি, আহারে শেষ, এই গেল গেল। পার্টির আর অস্তিত্বই থাকলো না… আরো নানারকম কত কিছু! একজনতো একদিন বলেই বসলো (আমারে সে অপরিপক্কভাবে, আসলেইতো আমি অপরিপক্ক!) “জামাতের সাথে লাগতে যাও কেন? জামাতের সাথে ভিতরে ভিতরে লিয়াজো রাখা উচিৎ, ১৯৯০ সালে পার্টি অফিসে আগুন দিছিল, কিছুদিন আগেও হেফাজতের সমাবেশে আগুন দিছে। ৯০তে তো কোনরকম গা বাচায় বাচছি” মেজাজ ঠিক রাখতে পারি নাই। উনি বয়োজেষ্ঠ্য তবুও ছুরির মত ধার আমার ঠোঠ দুইটা উনার উপর চালায়া দিলাম (সচরাচর আমি এইটা করি ফোরামে, বাহিরে করি না), “পার্টি অফিসে হামলা হইলে আপনার এত জ্বলে যখন আসেন পার্টি করেন, এত যে জ্ঞান দেন… আসেন পার্টি করেন.. এখানে আইসা কাজ করেন দ্বায়িত্ব নেন। ওইটাতো করবেন না, খালি আছেন পার্টির হোগার মধ্যে আঙ্গলি করতে। মাইরতো আপনি খান না, আমরা খাই, আমি খাই জলি তালুকদার খায়, রুবেল ভাই খায়, মাছুম ভাই খায়, লুনা আপায় খায়, রুফিক মাইর খায়.. মাইর খাওয়া থেইকা সেলিম ভাইও বাদ যায় না। কই ওই সময়তো আপানার গলা দিয়া শব্দ বাইর হয নাই। একবারও শালার কোন সময় দেখলাম না কোন মিছিলে, জ্ঞান দিতে আইছেন। যত্তসব” উনি উনার ইজ্জত জলাঞ্জলী দিয়া আগেকার মতোই পালায় বাচছে… ইতিহাস স্বাক্ষী আমারা পালাই নাই। পালামুও না।

সবাই, যে যেমন সে তেমন করেই ভাবে। এটা মানুষের সহজাত প্রবৃদ্ধি। আমি পার্টির আধার আধা স্বক্রীয় কর্মীও না। তবুও নিয়মিত পাটির কর্মকান্ডের খোজ খবর নেই। দেখছি পার্টি এগিয়ে যাচ্ছে। কিছু লোক পার্টির প্রতি অতিমাত্রায় যত্নশীল হয়ে উঠেছে। অফলাইন অনলাইনে এরা সরব হয়ে উঠেছে পার্টির সমালোচনায়। সত্যি বলতে কি পার্টি বড় হলে, প্রচার প্রসার পাইলে এদের সুবিধা হয়। এরা বলে বেড়াতে পারে কমিউনিস্ট পার্টি আছে না? আমি ওইটা করতাম, এরা ভাল লোক… যুক্তিটা এইরকম যেহেতু এরা ভাল লোক, আমিও এইটা করতাম, আমিও ভাল লোক আমারে কাম দেন, বিশ্বাস করতে পারেন। এইটারে বলে পার্টি বেচে খাওয়া। আবার কিছুলোক বিরোধী পক্ষ থেকে সুবিধা নেয়ার জন্য, যতরকমের বদনাম আছে, যতরকমের দূর্নাম আছে, যত রকমের আবালীয় বচন আছে এরা বিরোধীপক্ষের সামনে গাইবে। অফলাইনে এরা পার্টি এবং পাটির কর্মীদের মা-মাসীরে আস্ত রাখে না। অনলাইনে যেহেতু এইটা সম্ভব না, যে কেউ চাইলেই এটা পড়ে নিতে পারেন এবং অনলাইন মানে লিখে দিতে হবে তাই পার্টির প্রতি অতিমাত্রায় যত্মশীল হয়ে পোষ্টায়। যা বেশিরভাগ সময়ই ভিত্তিহীন। মাঝে মাঝে তাদেরকে আমি প্রশ্ন করি! এটা কিভাবে দিলেন? বলে, সমালোচনা সহ্য করতে না পারলে কমিউনিস্ট হতে পারবে না। ভাই আমারে জ্ঞান দেয়ার আগে, একটু কি বলবেন? সমালোচনা আর অপমানের পার্থক্য কি? What is the different between Criticism & Insult? জানি উত্তর দিতে পারবেন না। এইযে পার্টির এত্ত এত্ত সমালোচনা করেন, ভাই পার্টি যখন পার্টির উপর গর্ভাচেভের পেরেস্ত্রোইকা ভর করছিল? তখন কই আছিলেন? সোভিয়েতের পতনের পর পার্টিতে বিলুপ্তবাদের ভুত ডাল পালা ছড়াচ্ছিল তখন কেন লেজ গুটায়া পালাইছেন? ও মনে করছেন… পার্টি শেষ? আর পারবে না? কিন্তু ওই যে, কিছু স্বপ্নবানেরা যে ছিল, তারাই হাল ধরেছে… শুধু তাই না, তাদের ছেড়া পালে হাওয়াও লাগছে… আর এইটাই সমস্যা ওনাদের! উনিতো মনে করছেন হবে না…

আমার ছোট একটি কৌতুক মনে পড়ে গেলো-
পড়ালিখা শেষে ছেলে গ্রামে গেছে । বাপের সাথে গেলো এক গ্রামে দাওয়াত খেতে। কিন্তু ওরা মনে করেছিলো শুধু বাপই যাবে দাওয়াত খেতে। তাই খাবার টেবিলে ছিলো শুধু মাত্র ১ টা ডিম। এখন বাপ পড়েছেন চিন্তায়। কী করা যায়।
কিন্তু ছেলে বাপকে সান্ত্বনা দিয়ে বলে বাবা- “মনে করো” বাটিতে ২টি ডিম আছে।
বাপ বলে – আমি দেখি ১ টা ডিম তুই ২ টা বলিস কেন?
ছেলে বলে – বাবা , “মনে করো” – এখানে ২টি ডিম, যাতে হিসাব মিলাতে সহজ হয়।
তখন বাপ রেগে গিয়ে বল্লেন – তুর “মনে করো” টা তুই খা। আর ডিম টা আমি খাই।

এখন যারা পাটিরে মনে করেছেন পার্টি শেষ, আর হবে না, যারা মনে করেছেন সমাজতন্ত্র একটা অন্ধকার ঘরে কালবেড়ালের শুধুচোখ দেখে ধরার মত জিনিষ! তারা ওই মনে করো ডিমটা খেতে থাকেন।

সবিশেষে কমরেড মনি সিংহের একটা উদ্ধৃতি দিয়ে বলি, “কমিউনিস্ট পার্টি কাগুজেপত্রের পার্টি নয়, শ্রমিক কৃষক মেহনতি মানুষের পার্টি, ইনসাফের পার্টি, শ্রেণি সংগ্রামের পার্টি। যতদিন শোষণ থাকবে অবিচার থাকবে ততদিন কমিউনিস্ট পার্টি থাকবে। এই পার্টিকে যারা ধ্বংস করতে আসবে তারাই ধ্বংস হয়ে যাবে।”

অতএব বি কেয়ার ফুল, Think Dear Think, What to be done! ভাব বন্ধুরা, কি করিতে হইবেক! মাথায় ১ কেজি ওজনের একটা ঘিলু আছে, Please Use It!

আগে তোমরা যারা পালিয়ে গেছ! ইতিহাস অর্পিত দ্বায়িত্ব যারা পালন করতে পার নাই! তোমরা ভাবিও তোমাদের মত আমরাও পালিয়ে যাবো। নিজের মতো ভেবে কোন কুল কিনারা পাইবা না। আমাদের মত শ্রেনী সংগ্রামে আস, তাইলে দেখবা তোমার মনের চুরি, আর হূড়ী উকিঝুকি মারবে না।

সাবেক হও আর বর্তমান হও, কমরেড সবিনয় অনুরোধ একটু চোখ কান খোলা রেখে দেখেন, আমাদের শত্রুরা সবাই ঐক্যবদ্ধ, আমরা শুভবুদ্ধির যারা আছি তারাই ঐক্য ভ্রষ্ট্য। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। পার্টিকে অগ্রসর করি। জয় বাংলা, জয় সমাজতন্ত্র!