আমার ভীতরের আমিটা ধীরে ধীরে মরে যাচ্ছি!
আমি বাঁচার আকুতি নিয়ে – প্রতিদিন একটু একটু করে বাঁচি!

এই বেঁচে থাকার কোন মানে আছে?
প্রতিবার ভেবে ভেবে বাঁচা..

কোল বালিশ ধরে উপুড় হয়ে শুই,
আমি অজানায় ডুব দেই! হারিয়ে যাই।

আমাকে এখন কেউ প্রশ্ন করে না…
কেমন কাটলো দিন!
কেউ আমার মাথার ঘাম মুছে দেয় না!
আমি কেন দুপুরে খাই নি…
সকালের নাস্তা ঠিক মত করেছি কিনা…
বিকেলে কি খেয়েছি….
জুতার কালি মোজার রং নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না
কেউ সকালে ঠিক করে না, টাই কিংবা সার্ট…
চিটচিটে দাগ আর ঘামে ভিজে ছিড়ে যাওয়া
স্যান্টু গেঞ্জি আমি কেন পরি….
আমার অন্তর্বাসেও যার বিশেষ খেয়াল…
এসব নিয়ে কেউ আমার সাথে গোসসা করে না…

দিন শেষে আমি একা কেন?

অনেক খুজেঁ উত্তর মিলে একটাই…

আমি আসলে ঝগড়া করার মানুষ চাই!

আমি চাই কেউ একজন থাকুক, ঝগড়া করার…

খাবার সময় নুনের বাটি,
গোসল করার সাবান,
তোয়ালে বা গামছা নিয়ে
যার সাথে আমার ঝগড়া হবে।

চুলের ছাট! দাড়ি গোফ নিয়ে যার বিরক্তি
ছোট ছোট খুনসুটি…

সব আমায় এখন ভাবায়…

আমার ভীতরের আমিটা এখন,

প্রতিদিন একটু একটু করে বাঁচি!