আমি খুবই ছোট একজন মানুষ
আমি অতি সাধারন… ক্ষুদ্র… অনুবিক্ষনিক
খুঁজে পাওয়া আমাকে দুষ্কর
কিন্তু আমি জানি – আমার আছে আদিমতা।

কি চাই আমার কাছে?
আমার আছে ধুলি,
মাকড়সার জ্বাল…
টিকিটিকির ডিম…
পরিত্যক্ত চড়ুই পাখির বাসা।

আমার টিনের চালে কাকেরা খেলা করে…
শিলা বৃষ্টির শব্দের তীব্রতায় ঘুম ভেঙ্গে যায়।
ইলেক্ট্রিকের ঝুলন্ত তারে, ইদুরেরা খেলা করে।
ইদুর দম্পতির অনেকগুলো ছানা,
কিচকিচ শব্দের মোহনীয়তা আমায় মুগ্ধ করে।

আমার আরো আছে…
এক গাদা ঋনের কাগজ,
আর আছে সমাজ বদলাবার ভীমরতি!

হুম, চড়ুই পাখির বাজেয়াপ্ত বাসা
কোন কাজে লাগে না।
দূর্বা ঘাসের ডগায় এক বিন্দু শিশির…
দিনের আলোয় মিলিয়ে যায়।
আছে কুড়িয়ে পাওয়া পাখির পালক…

জান তুমি? তোমায় জড়িয়ে ধরার লোভে
আগুন লাগলে বনে,
যখন তাপে পুড়ে যাবে বসন্ত!
আমি সেই বসন্ত শেষে অপেক্ষায় থাকবো – তীব্র শীতের,
উষ্নতা দিব তখন, জড়িয়ে ধরে।

আমি বিনাশ হবো না…
আমি বিলীন হবো…
আমি রুপান্তর হবো…
ছাইয়ের স্তুপ থেকে,
আমি বের হতে চাই,
এক টুকরো স্বর্ন কনা!

আমি সংসার বিরোধী…
আমি সনাতন বিরোধী…

আমি রজনীগন্ধার চাইতে ধুতরাকে বেশি ভালবাসি,
আমি জানি রজনীগন্ধা শুকিয়ে যাবে..
গন্ধ বিলীন হবে…
কিন্তু ধুতরায় আছে বিষ….
আমি জেনে শুনে বুঝে বিষফুল হাতে নিয়েছি…

সাবধান মেয়ে… আমার সঙ্গ নিও না
আমি অপয়া, আমি নিবোর্ধ!